|
৳ ৫০০ ৳ ৪২৫
|
১৫% ছাড়
|
| Quantity |
|
তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩ অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি
শামসুজ্জামান খানের (জন্ম ১৯৪০) চিন্তাধারার মৌলিকতা ও বহুমুখিতা তার সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত নানা রচনায় উদ্ভাসিত। অনেক সময় বিষয়সুচি দেখে তার এই স্বকীয় বিশিষ্টতা আঁচ করা যায় না। বিষয়সুচির ব্যাপকাংশ পরিচিত বটে; কিন্তু এর বিষয়বস্তু ও তার আন্তপরিচর্যা উদ্ভাবনাময় ও নতুন। তাঁর অধিকাংশ লেখাতেই নতুন ধরনের চিন্তার উপস্থিতি যে-কোনাে চিন্তাশীল পাঠককে ভাবাতে সমর্থ। তার কাজের পরিমাণও বিপুল এবং বিচিত্রধর্মী; তবুও আলাদা। করে দেখলে নির্বাচিত প্রবন্ধ, মুক্তবুদ্ধি, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমকাল এমনকি কালের ধলোয় স্বর্ণরেণু বই তিনটিতে তার চিন্তাধারা যে আঙ্গিক ও অবয়বে উপস্থাপিত তা পাঠককে যথেষ্ট আলােড়িত করে। শামসুজ্জামান খানের উপযুক্ত তিনটি গদ্যগ্রন্থ। পড়ার সময় পাঠক যেমন বুদ্ধিবৃত্তিক উত্তাপ বােধ করবেন তেমনি পাশাপাশি ভাবতে বাধ্য। হবেন যে বাঙালি মুসলমানের সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে তাঁর চিন্তা বিশিষ্টভাবে স্বতন্ত্র । বাঙালি মুসলমানের চিন্তা-চেতনার রূপ। ও রূপান্তর, সামাজিক অগ্রগতি ও সাংস্কৃতিক বিকাশ তাঁর সকল অনুসন্ধানকে যেন অধিকার করে রাখে। কিন্তু বাঙালি মুসলমানের বিকাশের বৃত্তান্ত রচনা তার লক্ষ্য নয়। ইতিহাসের চেয়ে বেশি আগ্রহী তিনি ইতিহাসনিবিড় ভাবুকতায় । হিস্টরির চেয়ে হিস্টরিগ্রাফিতে তাঁর মনােযােগ । তাঁর রচনা পড়ে পাঠকের এমনও মনে হতে পারে যে, বাঙালি মুসলমানের আধুনিকতায় পুনর্ব্যাখ্যান জরুরি। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, জসীমউদ্দীন কিংবা মীর মশাররফ হােসেনকে তিনি একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিক ও উদ্ভাবনাময় স্বাতন্ত্রে উপস্থাপন করেছেন।
| Title | : | রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) |
| Author | : | শামসুজ্জামান খান |
| Publisher | : | শোভা প্রকাশ |
| ISBN | : | 9847008402181 |
| Edition | : | 2016 |
| Number of Pages | : | 408 |
| Country | : | Bangladesh |
| Language | : | Bengali |
শামসুজ্জামান খান। গবেষক, প্রবন্ধকার ও ফোকলোরবিদ হিসেবে দেশে-বিদেশে সুপরিচিত। প্রধানত চিন্তাশীল রচনাই প্রথম জীবন থেকে ছিল তার অন্বিষ্ট। উদ্ভাবনাময় এবং মৌলিক অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন লেখালেখির পাশাপাশি ফোকলোরের আরেকটি গভীর কিন্তু সরস আঙ্গিকের জনপ্রিয় পরিবেশনাতেও তার দক্ষতা তুলনারহিত। এই রচনাগুলো তাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা দিয়েছে। এ-সংক্রান্ত বইগুলো নিয়েই প্রকাশিত হলো তার রঙ্গসমগ্র। এই রচনাগুলোতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের চিত্তরঞ্জনী কৌতুকপ্রিয় রূপটি শিল্পিত ভঙ্গিতে প্রকাশ লাভ করেছে। এই কারণে এই রচনার গুরুত্ব অসামান্য বলা যায়। শামসুজ্জামান খান (১৯৪০) প্রথম জীবনে শিক্ষকতা করেছেন মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ (১৯৬৪), ঢাকার জগন্নাথ কলেজ (১৯৬৪-৬৮) এবং ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৬৮-১৯৭৩)। পরে ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগে উপপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। পর্যায়ক্রমে তিনি একাডেমির পরিচালক (১৯৮৫-৯৬), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক (১৯৯৬-৯৭), বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (১৯৯৭-২০০১) এবং ২০০৯ সাল থেকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক রূপে কর্মরত আছেন। দেশের তিনটি জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানের দায়িত্ব পালনের এক তুলনাহীন রেকর্ড রয়েছে তার। সাহিত্য-সাধনা ও গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার এবং রাষ্ট্রীয় একুশে পদক’-এ ভূষিত হয়েছেন। তার বইয়ের সংখ্যা সত্তরের কাছাকাছি।
If you found any incorrect information please report us
